ওষুধ খাওয়ার নিয়ম কানুন


 

প্রত্যহ জীবনে আমরা সবাই কম বেশি রোগ-ব্যাধির চিকিৎসার সাথে পরিচিত।  আসুন আমরা জেনে নেই ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম।  কারণ সঠিক নিয়মে ওষুধ খেলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।


শুরুতে ওষুধ খাওয়ার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত, জীবাণুমুক্ত করার জন্য।  রোগী হাতে ওষুধ খাওয়ার অক্ষম হলে, সেক্ষেত্রে সহযোগীকে ভাল করে হাত ধৌত করে নিতে হবে।  কারণ আমাদের শরীরের প্রায় সকল রোগই ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্যারাসাইট ইত্যাদির জন্য হয়ে থাকে।  আর হাত পরিস্কার করে না, ওষুধ খেলে ওই জীবানু আরো বেশি করে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

এবার দেখুন আপনার চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে আপনাকে যে ওষুধ লিখেছেন সেটার সাথে দোকানদারের দেওয়া ঔষুধের সাথে মিল আছে কিনা? মিল না থাকলে সে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  মনে রাখা ভাল ভুল ওষুধ মৃত্যু ঢেকে আনতে পারে।

এখন দেখুন ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা? ঔষুধের গায়ের মোড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ দেওয়া থাকে।  মেয়াদবিহীন ওষুধ বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

যে ওষুধগুলো খাবার আগে খেতে হয়

এবার দেখুন ডাক্তার ওষুধটা খাবার আগে নাকি পরে খেতে বলেছেন।  সাধারণত নিচের এসকল ওষুধ খাবার আগে খেলে বেশি ইফেক্ট পাওয়া যায়।  

সকল ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ (শুধু মাত্র গ্যাস্ট্রিকের সিরাপ ব্যাতীত) যেমন-

H2 Blocker- Ranitidine,Famotidine, Cimetidine etc.

PPI- Pantoprazole,Lansoprazole,Omeprazole,Rabeprazole,Esomeprazole,Dexolansoprazole.

বমিরও ইন্টিস্টাইন মোটালিটির ওষুধ গুলো

কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ : Azithromycin, Erythromycin etc.

ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধ- মেটফরমিন

আরো অন্যান্য ওষুধ খাবার আগে খেতে হয়।  উপরের ওষুধগুলো অবশ্যই খাবার আধা ঘন্টা আগে খাওয়া উচিত।

যে ওষুধগুলো খাবার পর খেতে হয়

নিচের ওষুধগুলো খাবার পরে ভরা পেটে খেতে হয়।  তাছাড়া হাইপার এসিডিটি হতে পারে।  যেমন-

সকল ধরনের ব্যাথার ওষুধ যেমন  Naproxen,Sulindac,ketorolac,Ibuprofen etc.

অন্যান্য এন্টিবায়েটিক: Ciprofloxacin,Levoflaxacin,Cefuroxime,Cefixime etc.

গ্যাস্টিকের সিরাপ জাতীয় ওষুধ : Entracyd Plus (Aluminium Hydroxide +Magnesium Hydroxide+Simethicone),Marlax plus(Magaldrote+Simethicone)

এছাড়া অন্যান্য প্রায় সকল ওষুধ খাবার পর খেতে হয়।

যে ওষুধগুলো খাবার মাঝে খেতে হয়

কিছু ওষুধ খাবারের মাঝে খেতে হয়। যেমন-

তীব্র ব্যাথার ওষুধ যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি

যে ওষুধ চুষে  খাবেন

কিছু ওষুধ চুষে খেতে হয়। যেমন-

কৃমিনাশক: Albendazole

ভিটামিন সি: Ascorbic Acid:Ceevet (Vitamin c)

গ্যাস্ট্রিকের: Aluminium Hydroxide+Magnesium Hydroxide ইত্যাদি।

যে ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়

কিছু ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। যেমন-

UTI- এর জন্য Urikal(Citric Acid monogydrate+potassium Citrate)

ক্যালসিয়াম + ভিটামিন সি জাতীয় ওষুধ

ওষুধ খাওয়ার  কিছু গুরত্বপূর্ণ নিয়ম

বাচ্চাদের সাসপেনশন জাতীয় ওষুধগুলো অনেকেই ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে প্রস্তুত করে থাকেন, এটা ভুল! নিয়ম হলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে অথবা ফুটানো পানি ঠান্ডা করে প্রস্তুতকরণ! 

উপরের সব কিছু ঠিক থাকলে এবার ওষুধ খাওয়া শুরু করতে পারেন, ওষুধটা ডানহাতে নিয়ে পানির সাথে খেতে পারেন।  ডানহাতের তুলনায় বামহাতে সাধারণত জীবানু বেশি থাকে।

ওষুধ অবশ্যই বসে সেবন করা উচিত।  অন্যাথায় শ্বাসনালিতে ওষুধ চলে যেতে পারে।  সেক্ষেত্রে মুহুতেই মৃত্যু ঘটে যেতে পারে।

যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা অনেকেই একসাথে প্রায় সব ওষুধ একসাথে খেয়ে ফেলে এটা ভুল। কমপক্ষে ১০/১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ওষুধ সেবন করা উচিত।

যে ওষুধ সকালে খাওয়া উওম

কিছু ওষুধ সকালে খাওয়া উওম। যেমন-

ইডিমা বা শরীরে পানি কমার: Frusemide etc(কারণ বহু মুত্র তৈরি করে)

উচ্চ রক্ত চাপও হার্টের ওষুধ

যে ওষুধ দুপুরে খাওয়া উত্তম

কিছু ওষুধ দুপুরে খাওয়া উত্তম- এসপিরিন জাতীয় ওষুধ।

যে ওষুধ রাতে খাওয়া উত্তম

কিছু ওষুধ রাতে খাওয়ায় উত্তম- প্রায় সকল ধরনের স্লিপিং পিল।

আসুন দেখে নেওয়া যাক ডাক্তারদের কিছু লেখা, কি নির্দেশ করে-

bid- দিনে ২বার। অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পর পর।
tid- দিনে ৩বার। অর্থাৎ ৮ ঘন্টা পর পর।
qid- দিনে ৪ বার। অর্থাৎ ৬ ঘন্টা পর পর।
hs- রাতে শুবার সময়।
ac- খাবার আগে
pc- খাবার পরে
NPO- মুখে কোন কিছু খাওয়া যাবে না। ইত্যাদি।

কিছু ওষুধ শুধু মাত্র সাব্লিংওয়ালে ব্যবহারের জন্য, জিহব্বার নিচে! যেমন- নাইট্রোগ্লিসারিন।

কিছু ওষুধ শুধু মাত্র পায়ুপথে ব্যবহারের জন্য। যেমন- সকল ধরনের সাপজেটিরি ওষুধ। সাপজেটিরি ভল্টানিন, ইন্ডোমেথাসিন, গ্লিসারিন ইত্যাদি।

কিছু ওষুধ মুখে শ্বাস টেনে ভিতরে নিতে হয়।  সকল ইনহোলারেশন যেমন- সলবিটামল, টিকামেট ইত্যাদি।

সকল ধরণের সিরাপ জাতীয় ওষুধ প্রতিবার খাবার আগে ঝাকিয়ে নিতে হয়। এতে ওষুধ এর সকল উপাদান মাত্রা ঠিক হয়।

যারা ঘুমের বা দুশ্চিন্তা সায়কাটিকস ওষুধ খেয়েও বলেন ঘুম ধরে না। তাদের জন্য এসব ওষুধ অবশ্যই আপনাকে বিছানায় যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে খেতে হবে। কারণ ম্যাক্সিমাম ওষুধ এর কার্যক্রিয়া ১-২ ঘন্টা পরে শুরু হয়।

কিছু ওষুধ শ্বাসনালি দিয়ে টেনে শ্বাস নিতে হয়। যেমন- মেনথোল গরম পানিতে দিয়ে বাস্প টানতে হয়।

কিছু ওষুধ সর্বদা বহি:ত্বকে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত। যেমন- সকল ধরনের টপিক্যাল লোশন, ক্রিম, অয়েনম্যান্ট, পাউডার ইত্যাদি।

কিছু ওষুধ মহিলাদের মাসিকের রাস্তায় ব্যবহ্রত। যেমন- Cap,Vcap,Gynomix.

আকারে বড় জাতীয় ট্যাবলেটগুলো প্রয়োজনে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে খেওয়া যেতে পারে।

বাচ্চাদের সর্বদা সিরাপ ওষুধ খাওয়া ভাল হবে।  ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধ বাচ্চাদের খ্যাদ্যনালী বা শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে দ্রুতই মৃত্যু ঢেকে আনতে পারে।

পরিশেষে সকল ধরনের ওষুধ ডাক্তারদের পরামর্শে অনুযায়ী সঠিক সময় মত সেবন করুন।

স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

 


স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

আবু মুনতাহা

আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামত রাজির মধ্যে নিঃসন্দেহে স্মৃতিশক্তি একটি বড় নেয়ামত। যা আল্লাহ কম বেশী সবাইকে দান করেছেন। যাদের স্মৃতি শক্তি কম বা লোপ পেয়ে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে তারাই কেবল বুঝতে পারে স্মৃতিশক্তি কত বড় নেয়ামত।

যে সব কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হল :

⇒ গোনাহ করা। এটি স্মরণশক্তি লোপ পাওয়ার একটি অন্যতম কারণ।

⇒ অধিক হাসি ঠাট্টা করা।

⇒ ইস্তিঞ্জার জায়গায় অজু করা।

⇒ মসজিদে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা। ডান পা দিয়ে বের হওয়া।

⇒ ময়লা আবর্জনা দেখা।

⇒ ফলবান গাছের নীচে পেশাব করা।

⇒ অযথা রাগ করা।

⇒ দাঁড়িয়ে পেশাব করা।

⇒ নিজের বা অন্যের লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো।

⇒ বেগানা মহিলা / পুরুষের দিকে তাকানো।

⇒ যিনা ব্যভিচার করা।

⇒ পানাহারের পূর্বে বিসমিল্লাহ না বলা।

⇒ আঙ্গুল দিয়ে খেলা করা। যেমন- কেরাম বোর্ড খেলা।

⇒ হস্তমৈথুন করা।

⇒ কাপড়ের আঁচল দিয়ে মুখ মোছা।

⇒ দীর্ঘ সময় নির্ঘুম থাকা। ব্রেইনে প্রেশার দিয়ে কাজ করতে থাকা।

⇒ অপ্রয়োজনীয় কথা বলা। সাধারণত বেশী কথা বললে মস্তিষ্কের শক্তি অপচয় হয়। আর এর প্রভাব পড়ে স্মরণশক্তির উপর।

⇒ পরিধানের কাপড় দ্বারা মুখ মোছা।

⇒ টিভি, সিনেমা এবং উলঙ্গ ও অর্ধ-উলঙ্গ ছবি দেখা।

⇒ অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন থাকা বা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করা।

যাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে বা স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের প্রয়োজন স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। নিম্নে কয়েকটি পন্থা উল্লেখ করা হল। যদি কেউ আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে উক্ত পন্থা অনুযায়ী চলে, তবে স্মৃতি উন্নত হবে।

স্মৃতি বৃদ্ধির আমলসমূহ –

⇒ স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল সমূহের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আমল হল- সব রকম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা

⇒ যথাসম্ভব নির্জনতা অবলম্বন করা।

⇒ চোখের হেফাজত করা। অর্থাৎ প্রয়োজন ব্যতীত এদিক সেদিক না দেখা।

⇒ অবিরাম চেষ্টা করা। নিরলসভাবে চেষ্টা চালালেও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ইমাম আবু হানীফা (রহ.) ইমাম আবু ইউসুফকে বলেছিলেন ‘তুমি মেধাহীন ছিলে, ক্লাসের উপস্থিতি ও চেষ্টা তোমাকে মেধাবী বানিয়েছে।

⇒ কম খাওয়া।

⇒ রাতের বেলায় মধু খাওয়া।

⇒ দেখে দেখে কুরআন পড়া। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ।

⇒ মিসওয়াক করা।

⇒ নিয়মিত মাথায় তেল দেয়া।

⇒ রাসূল (সা.) এর উপর বেশী বেশী দুরুদ পড়া।

⇒ তিনবার সূরা মুজ্জাম্মিল পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করা।

⇒ নারিকেল তেল ব্যবহার করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

⇒ তিলের তেল ব্যবহার করলে মেধা বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।

⇒ দুপুরে শোয়া সুন্নত, এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে একটি হল মেধা বাড়ে।

⇒ নিয়মিত ব্যায়াম করলে স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ হয়।

⇒ সবসময় হাসি খুশি অর্থাৎ টেনশন মুক্ত থাকলে এবং মিষ্টি ভাষায় কথা বললে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

⇒ প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের পর একবার ফাতেহা, তিনবার সূরা ইখলাস এবং ১১ বার দুরুদ শরীফ পড়ে মুনাজাত করলে এবং মুনাজাতের প্রথমে নবীজীর প্রতি ও ক্রমানুসারে সকল মুসলমানের জন্য ছওয়াব পৌঁছিয়ে নিজের গোনাহের মাফ চেয়ে স্মরণশক্তির জন্য দোয়া করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।

স্মৃতি বৃদ্ধির খাবার সমূহ- 

⇒ মধু পান করা।

⇒ মাখনে ভেজে বাদাম খাওয়া।

⇒ মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া।

⇒ ঘি খাওয়া।

⇒ হালাল জন্তুর ঘাড়ের গোশত খাওয়া।

⇒ ফল ফলাদী খাওয়া।

⇒ মিষ্টি আপেল খাওয়া।

⇒ ঠাণ্ডা রুটি খাওয়া।

⇒ ভাত গরম খাওয়া।

⇒ হযরত আলী (রা.) বলেন, স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য মিষ্টি ডালিমকে আবশ্যক মনে করা।

⇒ কিশমিশ খাওয়া।

⇒ বিস্মৃতি দূর করার জন্য দুধ আবশ্যক। কারণ, তা অন্তরে সাহস যোগায় এবং বিস্মৃতি দূর করে।

⇒ এন্টি অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বাড়ানো কারণ তা স্মৃতি শক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল যথা : পাকা পেঁপে, আনারস, কমলা লেবু, আম, কালো জাম, গাজর, পেয়ারা ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক ইত্যাদিতে পাওয়া যায়।

⇒ কফি ও চা পান করা, তবে প্রত্যেক দিন তিন কাপের বেশী করা উচিত নয়।

⇒ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। কারণ পরিষ্কার ও স্বচ্ছ স্মৃতিশক্তির জন্য আয়রন অত্যন্ত কার্যকর। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন : শস্য দানা, ভুট্টা, শিম, কচু শাক ও গাঢ় শাক সবজি ইত্যাদি।

⇒ যাদের ভুলে যাওয়া অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের উচিত হল ১ কাপ গরম পানিতে ৩/৪ গ্রাম খেসারীর ডাল ভিজিয়ে রেখে ঐ পানি পান করা।

⇒ সকালে খালি পেটে অল্প পরিমাণ মধু সামান্য জাফরানের সাথে মিশিয়ে খাওয়া।

যদি কোন জিনিস মুখস্থ রাখতে চান, তবে উচিত হল জিনিসটির প্রতি গভীর মনোযোগ দেয়া। অমনোযোগী অবস্থায় কখনো মুখস্থ হবে না আর হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মুখস্থ করার জন্য উত্তম সময় হল রাতের শেষ ভাগে, প্রত্যুষে এবং মাঝ রাতের পর। কারণ এ তিন সময়ে মানুষের মন পরিষ্কার থাকে এবং স্থির থাকে, তাই যে কোন বিষয় শেখা সহজ হয়।